🌧️ প্রেমার চোখে পিকে – পর্ব ৫: অতীত যখন ফিরে আসে
পিকের দেওয়া চিঠি এখন প্রেমার ডায়েরির পাতায় জায়গা করে নিয়েছে।
তবুও কিছু কিছু অন্ধকার এখনো রয়ে গেছে প্রেমার মনে, যা সে প্রকাশ করেনি।
একদিন পিকে সরাসরি জিজ্ঞেস করল—
— “তুমি কাউকে ভালোবেসেছিলে, তাই না?”
প্রেমা চুপচাপ। তারপর বলে,
— “হ্যাঁ। নাম ছিল আরিব। সে ছিল আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের সিনিয়র। অনেকটা তোমার মতোই—স্মার্ট, মুগ্ধ করা কথা বলা, সব মেয়ে তাকে পছন্দ করত।”
পিকে কিছু বলে না। প্রেমার কণ্ঠ নিজেই ভিজে ওঠে।
— “আমি ভাবতাম, এটাই প্রেম। কিন্তু ওর ভালোবাসা ছিল শর্তে বাঁধা। আমি যেমন, তেমন আমাকে সে চায়নি। পরিবর্তন করতে চেয়েছিল… আর একদিন হঠাৎ অন্য কারও হাত ধরে চলে গেল।”
— “তারপর?” পিকে নরম স্বরে জিজ্ঞেস করে।
প্রেমা চোখের জল লুকিয়ে বলে,
— “তারপর নিজেকে গুটিয়ে ফেলেছি। ভেবেছি, কেউ আর সত্যিকারের বোঝে না। কিন্তু তোমার চিঠিটা… সেটা যেন আমায় আবার ডাকে—‘খোলামেলা হতে শেখো প্রেমা’।”
🌼 পিকের উত্তর...
পিকে আস্তে করে প্রেমার হাত ধরে বলে,
— “প্রেমা, আমি তোমাকে পাল্টাতে চাই না।
তোমার ভাঙা অংশগুলো নিয়েই আমি পাশে থাকতে চাই।
ভালোবাসা মানে শুধু হাসিমুখে থাকা নয়, একসঙ্গে কাঁদাও।
তুমি যদি এক পা বাড়াও, আমি দশ পা এগিয়ে আসব।”
প্রেমার চোখ ছলছল করে। এবার আর নিজেকে গুটিয়ে রাখতে পারে না।
পিকের কাঁধে মাথা রাখে।
বাইরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
কিন্তু ভেতরে যেন এক অদ্ভুত রোদ ঝলমলে আলোর জন্ম হলো।
🍁 শেষ দৃশ্য...
ক্যাফের কোণে দুজনের নীরব বসে থাকা—কিন্তু সেই নীরবতাই যেন হাজার শব্দের চেয়ে বেশি বলছে।
প্রেমা জানে, এবার সে আর একা না।
আর পিকে জানে—এই মেয়েটার চোখেই সে তার পৃথিবী খুঁজে পেয়েছে।
🔜 চলবে...
পরবর্তী পর্বে:
- প্রেমার জীবনে আবার আরিবের আগমন
- পিকে ও প্রেমার ভালোবাসার পরীক্ষা
- সিদ্ধান্ত—কে থাকবে, কে হারিয়ে যাবে? 🌙❤️
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন